সম্প্রতি ইউক্রেন সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরুর ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। তবে যুক্তরাষ্ট্রের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বৃটিশ গণমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, রাশিয়ার এই সেনা সরানোর দাবি মিথ্যা এবং গত কিছু দিনে আরও ৭,০০০ সেনা সীমান্তে জড়ো হয়েছে। রাশিয়া যে কোনো মুহূর্তে মিথ্যা অজুহাত দাঁড় করিয়ে ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে। যদিও মস্কোর দাবি, সামরিক মহড়া শেষ হবার পর সৈন্যদের সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।

এর আগে জার্মান চ্যান্সেলরের কার্যালয় থেকে জানানো হয়, বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ এক ফোনালাপে বলেন, উত্তেজনা কমাতে রাশিয়ার অবশ্যই বাস্তব পদক্ষেপ নিতে হবে। ইউক্রেন সীমান্তে লাখেরও বেশি রুশ সেনা মোতায়েন নিয়ে পশ্চিমাদের উদ্বেগকে ‘মৃগীরোগ’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে দেশটি।

বুধবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশ করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ২০১৪ সালে সংযুক্ত করা ক্রিমিয়া থেকে ফিরে যাচ্ছে রুশ ট্যাংকগুলো। কিন্তু হোয়াইট হাউসের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা বলছেন, সীমান্তে আরও সেনা আনা হয়েছে। এমনকি বুধবারও সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। যদিও রুশ সেনা সরানোর খবরটি বিশ্বজুড়ে আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু আমরা এখন জানি, এটি ছিল মিথ্যা।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও বিবিসিকে বলেছেন, সীমান্ত থেকে রাশিয়ার সেনা সরিয়ে নেয়ার ঘটনা এখনও আমরা দেখিনি। এদিকে ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল জেন্স স্টোলটেনবার্গ বলছেন, রুশ সেনা সরানো হচ্ছে এমন কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

বরং দেখে গেছে, সীমান্তে আরও সামরিক যানবাহন, হেলিকপ্টার ও ফিল্ড হাসপাতাল বসাচ্ছে রাশিয়া। ইউক্রেনের সীমান্তে রাশিয়ার প্রায় এক লাখের বেশি সেনা সমাবেশের কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ আশঙ্কা করছে, মস্কো যেকোনো সময় কিয়েভে হামলা চালাতে পারে।
রাশিয়ার উদ্বেগ
যদিও রাশিয়া ইতোমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে, ইউক্রেনে হামলার কোনো পরিকল্পনা নেই মস্কোর। কিন্তু ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার প্রচেষ্টার তীব্র বিরোধিতা করেছে দেশটি। মস্কো সাবেক সোভিয়েতভুক্ত দেশগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ন্যাটোর সম্প্রসারণ কার্যক্রম বন্ধ করতে চায়। কিন্তু ওয়াশিংটন ও ন্যাটো রাশিয়ার এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।

 

কলমকথা/সাথী